নিজস্ব প্রতিবেদক:ভোলা সদর উপজেলায় উদ্যোক্তাদের সাথে প্রতিহিংসা করে, মিথ্যা ক্লাইন্ট সেজে সায়মা আফরিন তিথি( ১৯) নামের এক মেহেদী আর্টিস্টেকে আটক করে ফোন জিম্মি করে মারধরসহ মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগে উঠেছে ।
গত বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৫ তারিখ বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০টা অবধি ভোলা সদর উপজেলার জুগির গোল এলাকায় ব্রাক অফিসের সামনে(ইতালি প্রবাসী)মামুনের বিল্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সায়মা আফরিন তিথি বলেন নুরে জাহান শেফা-nure's glamour glow ও ফাতেমা মিহি-makeup & more আপুর গ্রুপে থেকে তাদের এই দুইটি পেজে রোজার ঈদে মেহেদী ফেস্টে আর্টিস্ট হিসেবে জয়েন করেছিলাম কিন্তু এবারের ঈদে তার সাথে কাজ নাহ করে জিমিয়া আপুর সাথে কাজ করি। উক্ত বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে Sayma jahan নামে একটি আইডি দিয়ে আমার পেইজে মেসেজ দিয়ে জানায় যে, আমাকে দিয়া মেহেদীর কাজ করাইবে। পরবর্তীতে তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য একটি মোবাইল নাম্বার দেয় ০১৬১০৮৪৮১০৪ । আমি উক্ত মোবাইল নম্বরে কল দিলে আমাকে বুকিং দেয় এবং বলে জৈনপুরী হুজুরের খানকায়ের সামনে থাকতে। আমি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কথায় সরল বিশ্বাসে যুগীরঘোল খানকায়ের সামনে যাইয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে কল দিলে সে একটি ছোট মেয়েকে পাঠায় তখন সে আমাকে খানকা রোড ব্রাক অফিসের সামনে মামুন(ইতালি প্রবাসী) নামক এক ব্যক্তির বিল্ডিংয়ের ভিতর নিয়া গেলে দেখি যে, নুর জাহান শেফা ও ফাতেমা মিহি আপু হঠাৎই তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে মারতে শুরু করে এবং বলে আমি তাদের টিমে থেকে কাজ করতে হবে আমি রাজি না হওয়ায় ।আমার ফোন কেড়ে নেয় এবং বর্তমানে আমি যাদের টিমের হয়ে কাজ করতেছি তাদের বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য করতে জোর করে বাধ্য করে এবং সেগুলো তারা ভিডিও করে রাখে।
আমাকে চাপ সৃষ্টি করে যে, তুই আমাদের টিমে কাজ না করায় আমাদের অনেক কাজ কমে গেছে, তুই এখন নগদ ২,০০,০০০/-টাকা দিতে হইবে। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে আটকানোর রুমের ভিতর আমাকে লাঠি দিয়া আঘাত করে আমার হাতে ও পায়ে জখম করে। আমি ডাকচিৎকার দিলে তারা আমার গলা চেপে ধরে। আমি ডাকচিৎকার দিলে আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। আমাকে দীর্ঘক্ষন আটক করিয়া আমাকে বিভিন্ন ধরনের চাপ সৃষ্টি করিয়া তাদের টিমে কাজ করার জন্য রাজি করার চেষ্টা করে। আমি তাদের মারধর, হুমকি ধামকিসহ চাপ সৃষ্টিতে তাহাদের টিমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ না করায় আমার থেকে জোর পূর্বক বিভিন্ন ভিডিও করে। বর্তমানে আমি জিমিয়া আপুর allure beauty by janin স্টুডিওতে কাজ করি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারের ভিডিও তৈরি করে। আমি উক্ত ঘটনার বিষয় নিয়ে প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এবিষয়ে জিমিয়া জেনিন বলেন এরা কিছুদিন আগে আমার সাথেও ঝামেলা করেছে আমি বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি সে বিষয়টিও তদন্ত চলছে । আমি তদন্ত সাপেক্ষে এদের সঠিক বিচারের দাবি জানাই। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি হাসনাইন পারভেজ জানান উক্ত ঘটনার বিষয় নিয়ে ভিকটিম বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করছে । ঘটনাটি নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে । তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।